অনুভূতিগুলো দিতে চাই প্রযুক্তির ছোঁয়ায়,
দেশকে নিতে চাই অন্য উচ্চতায়।
প্রচেষ্টা আমাদের নতুন প্রজন্ম গড়া কারিগরি শিক্ষায়,
সমৃদ্ধির পথে বাঁধাগুলো অতিক্রম করা
আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা।
খ্রীস্টিয়ান সার্ভিস সোসাইটি পরিচালিত হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। যে কথাটি না বলেলই নয়, “মুক্তির মন্ত্র কারিগরির যন্ত্র” আর বর্তমান সময়ে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একটি অন্যন্য নাম। কারণ ব্যবহারিক শিক্ষার ক্ষেত্রে যে সমস্ত উপকরণের সংযোজন হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-এ রয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। পড়াশোনার পাশাপাশি হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনসহ নিয়মিত খেলাধুলার উপকরণ সরবরাহ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, ক্যান্টিনের ব্যবস্থা, হোস্টেল ব্যবস্থা, নিজস্ব মনোরম ক্যাম্পাস, লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার, শীততাপ-নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার ল্যাব, জেনারেটরের মাধ্যমে নিজস্ব বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও সময়জ্ঞান, শিক্ষা সফর, বার্ষিক প্রকাশনার ব্যবস্থা সত্যি অভিভূত হওয়ার মত ও অন্যদের কাছে অনুসরণযোগ্য। সময়ের দাবি মেনে সিএসএস এর ‘জব অ্যান্ড বিজনেস সার্ভিস’ এর অবদান বলার অপেক্ষা রাখে না। একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণভাবে গড়ে তোলার জন্য যে বিষয়গুলো প্রয়োজন তার সিংহভাগ হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সফলভাবে পূরণ করে থাকে। আমি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলব, বিশ্বায়ন আর প্রযুক্তির এই যুগে তোমরা যুগোপযোগী একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছ তাই তোমাদের উচিত পড়াশোনার প্রতি আরও যত্নবান হওয়া। বই জ্ঞান ধারণ করায়, হাতে-কলমে শিক্ষা তার ব্যবহারিক প্রয়োগ ঘটায়, আমি চাই তোমরা জ্ঞান নিজের অন্তরে ধারণ কর, হাতে-কলমে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন কর। তোমরা শুধু নিজের নয়, দেশেরও ভবিষ্যত নির্মাতা তাই রুখে দাঁড়াও মাদকের বিরুদ্ধে, ইভটিজিং-এর বিরুদ্ধে, শিশুশ্রম, শিশু ও নারী পাচারের বিরুদ্ধে, অন্যায়- দুনীর্তি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। অস্ত্রবাজি নয়, এসো আমরা কলমবাজি করি। এসো সবাই মিলে জাতি গড়ার, দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করি। এসো দেশমাতৃকার কাছে শপথ নিই- সোনার বাংলা গড়ার।